শিশু জন্মের পর থেকে যৌবনকাল পর্যন্ত শারীরিক বিকাশ সাধন হয়। জন্ম থেকে মানুষের জীবন বিকাশ এক অবিচ্ছিন্ন ধারায় এগিয়ে চলে

শিশু জন্মের পর থেকে যৌবনকাল পর্যন্ত শারীরিক বিকাশ সাধন হয়। জন্ম থেকে মানুষের জীবন বিকাশ এক অবিচ্ছিন্ন ধারায় এগিয়ে চলে

শারীরিক বিকাশ-শিশু জন্মের পর থেকে যৌবনকাল পর্যন্ত শারীরিক বিকাশ সাধন হয়। জন্ম থেকে মানুষের জীবন বিকাশ এক অবিচ্ছিন্ন ধারায় এগিয়ে চলে। এক্ষেত্রে আমরা বিশেষ করে চারটি ধারায় আলোচনা করতে পারি।এক শারীরিক বিকাশ,মানসিক বিকাশ,সামাজিক বিকাশ,আবেগিক বিকাশ।

শারীরিক বিকাশের ক্ষেত্রে জন্মের পর থেকে শুরু একটা শিশু অসহায় জন্মগ্রহণ করে,সবকিছু তখন অন্যের মুখাপেক্ষী তখন থেকেই তার শারীরিক বিকাশ শুরু। সামগ্রিকভাবে একজন মনোবিজ্ঞানী জীবন বিকাশের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী,কয়েক স্তরে  বিভক্ত করেছেন। তবে এর মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে,কেউ আবার শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ভাগ করেছেন। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠন,আকৃতির পরিবর্তনের ভিতর দিয়ে। একটা শিশু পূর্ণাঙ্গ ভাবে গড়ে ওঠে। আবার বুদ্ধি বিকাশের ক্ষেত্রে শিশুরা একইভাবে,গড়ে উঠতে পারে না অনেক সময়।

শারীরিক বিকাশ দুই ধরনের। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বৃদ্ধি ও বিকাশ।অন্যটি হলো বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কাজের বিকাশ ও সঞ্চালনমূলক বিকাশ।এই দুই ধরনের বিকাশের মাধ্যমে। একটা শিশু পরিপূর্ণ শারীরিক বিকাশ সাধিত হয়।

সামগ্রিক বিকাশ থেকে বিশেষ বিকাশের দিকে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিকাশের ধর্ম। সাধারণত ও বিশেষ ধরনের বিকাশ এবং শরীরের বিভিন্ন কার্যাবলীর বিকাশের একটি ক্রমধারা আছে।যেমন শিশু কথা বলার আগে,কালকূজন করে,হাঁটার আগে হামা দেয়,ভিতরে দাঁত উঠার আগে সামনের দাঁত গজায়,সামাজিক ভাষা ব্যবহারের আগে আত্মকেন্দ্রিক ভাষা ব্যবহার করে,বিমর্ত চিন্তার আগে মূর্ত চিন্তা ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়। প্রত্যেকটা শিশুর বিভিন্ন ধরনের বিকাশ হতে পারে,যেমন বয়সের তুলনায় লম্বা হতে পারে।ভাষা বিকাশে সে অনগ্রসর থাকতে পারে।সকল শিশুর ক্ষেত্রে বিকাশের ক্রমধারা একই রকম নয় একটা শিশুর বংশগতি ও পরিবেশের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকতে পারে।

শিশু কিশোদের শারীরিক,মানসিক গডার জন্য খেলাধুলা প্রয়োজনীতা অনেক বেশি।শিশু আমাদের ভবিষ্যৎ,এবং দেশ গড়ার কারিগর।আমাদের শিশু কিশোরা প্রতিদিন  খোলা মাঠে খেলাধুলার মাধ্যমে আস্তে আস্তে শিশুর শরীর, হাড় ও মাসল শক্তিশালী হয়। তারা দ্রুত বেড়ে ওঠে। নিয়মিত মাঠে খেলাধুলা শিশুদের উদ্দীপনা, কর্মক্ষমতা ও সহনশীলতা বৃদ্ধি করে, হার ও জিতকে সহজে মেনে নিতে সাহায্য করে।

শিশুর শারীরিক বিকাশ গঠনের জন্য মায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।শিশু শারীরিক ভাবে গড়ে উঠে শিশুর সূষম খাদ্য তালিকা তৈরী করতে হবে,যাতে কোন কিছু বাদ না পড়ে।