কৈশোর মানসিক/ শারীরিক/বুদ্ধি বিকাশের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়

কৈশোর মানসিক/ শারীরিক/বুদ্ধি বিকাশের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়

কৈশোর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ১০ বছর এবং ১৯ বছর বয়সের মাঝামাঝি সময়টাকে কৈশোর বলে। এ সব ছেলে মেয়েদের মানসিক শাররীক বুদ্ধি বিকাশের উপযুক্ত সময় আবার এর যে কোন এ সময়ে বয়ঃসন্ধিকাল আসতে পারে। এটা মূলত কৈশোর ও যৌবনের মধ্যবর্তী পর্যায়ে। অনেক সময় ১৯ বছরের পরও বয়ঃসন্ধির ব্যাপ্তি থাকতে পারে।

কৈশোর কালে মানসিক পরিবর্তনে হয় এবং জাগতিক বিষয় ছেলে মেয়েদের অনুভুতি প্রকাশ পায়, এসময় দেহের পরিবর্তন ,এবংযৌন শক্তি পরিপূর্ন বিকাশ সাধন হয়, মানসিক বিকাশের আলোড়ন ঘটায়।

এই কৈশোর কালের মধ্য দিয়ে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ার জন্য সকল কিছুর উদ্ভাবনে উপযুক্ত সময়। এ সময়ে সৃষ্টিশীল চিন্তা সমাজ জীবনধারা আবেগ/সমাজ/ দেশ সকল কিছুর বিকাশ সাধন করতে পারে কৈশোরা।

কৈশোর হল শৈশব থেকে যৌবনে পদার্পণ করার মধ্যবর্তী এ সময় জুড়ে বিভিন্ন রকম শারীরিক পরিবর্তন ঘটে এবং আকস্মিক হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মানসিক আবেগের তীব্রতার উত্থান পতন ঘটে থাকে, বয়ঃসন্ধিকালের পূর্বে নিষ্ক্রিয় থাকা হাইপোথ্যালামাস এ সময় হঠাৎ করে সক্রিয় হয়ে ওঠে।সাধারণত  গ্লুটামেট ও সেরেটোনিন নামক নিউরোট্রান্সমিটার হরমোন এ আবেগীয় পরিবর্তনে প্রধান ভূমিকা রাখা থেকে নিঃসৃত  হরমোন এবং গ্রোথ হরমোন কৈশোরকালীন শারীরিক বিকাশ ও যৌন আচরণকে সক্রিয়করণে কাজ করে।

ভৌগোলিক অবস্থান ভেদে কৈশোরের ব্যাপ্তির তারতম্য দেখা যায় কৈশোরকালের বয়সসীমা নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনার সময় বুঝি চলে এসেছে।প্রতিষ্ঠিত ধারণা অনুযায়ী কৈশোর শুরু হয় ১০ বছর বয়স থেকে। আর প্রাপ্তবয়সে পদার্পণ ঘটে ১৯ বছর বয়সে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, এই ধারণা পরিবর্তনের সময় চলে এসেছে।আবহাওয়া পরির্বতনে সাথে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হইতে পারে।

এই সময়ের মধ্যে মা বাবা কে খুব বেশী করে কথাবার্ত বলতে হবে,তার আচার আচরণ থেকে সব কিছুর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।