বুদ্ধিবৃত্তি হল মগজের চালিক শক্তি,মনের একটি ক্ষমতা যা মানুষে মনে বহির প্রকাশ ঘটায় যার মাধ্যমে। কোন ব্যক্তি কোন কিছুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য চিন্তা করতে পারে,এটা এমন একটি মানসিক ক্ষমতা মানুষ যার দ্বারা কোন ব্যক্তি কোন বিষয় ঠিক না ভুল সে বিষয়ে সঠিক উপসংহারে বা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে এবং সমস্যা সমাধানের উপায় বের করতে পারে।
এটা ধারা কথা বার্তা নিয়ম কানুন এবং মানুষে জীবন পরিচালনার করার জন্য অনুভব,চলাচল করার ক্ষমতা এর সঙ্গে জড়িত,কিন্তু চিন্তা করার ক্ষমতা জড়িত, যুক্তি, দর্শন ও অঙ্কের মত বিষয়গুলো বুদ্ধির সঙ্গে সম্পৃক্ত।বুদ্ধি হল কোন কিছুকে সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা,পারস্পারিক সম্পর্ক অনুসন্ধান,ভাল মন্দ পাথক্য কোন কিছুকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার ক্ষমতা,কোন জিনিসের প্রকৃত স্বরূপ কি,তা খুঁজে বের করা হল শনাক্তকরণ; দুটি জিনিসের মধ্যে সাদৃশ্য বৈসাদৃশ্য নির্ণয়, তাদের সাদৃশ্যের ধরন, ইত্যাদি অনুসন্ধান হল পারস্পারিক সম্পর্ক নির্ণয করা হলো বুদ্ধিবৃত্তি আর পৃথকীকরণ হল কীভাবে দুটি জিনিস একে অপর থেকে আলাদা তা খুঁজে বের করা। বুদ্ধিতে অবশ্যই এই তিনটির মধ্যে অন্তত যে কোন একটি কাজ জড়িত থাকে। বুদ্ধির্বত্তির জন্য আজ পৃথিবীর সৃষ্টির জন্য জ্ঞান-বিজ্ঞান কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্টি হয়।সেটি হয় মানুষের মগজে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো ছাত্র-ছাত্রীদের মগজকে চিন্তা-ভাবনায় সক্রিয় করা।সে কাজটি সঠিক ভাবে হলে মগজ জ্ঞান-উৎপাদনে পাওয়ার হাউসে পরিণত হয়।
সূর্যোদয়ে যেমন পৃথিবী আলোকিত হয়, বুদ্ধিবৃত্তিতে তেমনি আলোকিত হয় জনগণের মন। আলোকিত মন নিয়ে ছাত্রগণ তখন ন্যায়-অন্যায়, সত্য-মিথ্যা চিনবার সামর্থ্য পায়। পায় চরিত্র, জেগে উঠে দায়িত্ববোধ,প্রতিষ্ঠা পায় সুনীতি মুসলিমগণ যখন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সভ্যতা নির্মাণ করেছিল সেটা হলো বুদ্ধিবৃত্তি তাই আমাদের কে সঠিক ভাবে গড়ে উঠতে হলে শিশু কিশোর থেকে বেড়ে উঠতে হলে কি করণীয় প্রথম মা বাবা কে মনোযোগ দিতে হবে।