চট্টগ্রাম কে রাঙ্গীয়ে দিলো ছাত্র ছাত্রীরা

চট্টগ্রাম কে রাঙ্গীয়ে দিলো ছাত্র ছাত্রীরা

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ই আগষ্ট সরকার পতনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কে সাজিয়ে দিলো এক নতুন রুপে।

যে দিকে চোখ যায় সেদিকে দেয়ালে লেখা তুমি কে, আমি কে, রাজাকার-রাজাকার,পানি লাগবে-পানি,রক্তের দামে কিনা এদেশ

বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলন থেকে সরকার পতন।৩ আগস্ট শহীদ মিনার থেকে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম সরকার পদত্যাগের এক দফা আন্দোলন ঘোষণা করেন।

শুরুতে ৬ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন “লং মার্চ টু ঢাকা” কর্মসূচি ঘোষণা করে। তবে এই পরিস্থিতি বিবেচনায় সমন্বয়করা কর্মসূচি একদিন এগিয়ে এনে ৫ই আগস্ট ঘোষণা করেন। আন্দোলনকে ঘিরে ৫ আগস্ট অনেক জেলায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ এবং গোলাগুলির ঘটনা ঘটে, এতে ১০৮জন সাধারণ নাগরিক ও পুলিশ নিহত হয়।

৫ আগস্ এক দফা দাবির প্রেক্ষিতে সম্মিলিত ছাত্র-জনতার এক গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করেন এবং দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরই মধ্য দিয়ে তার ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের শাসনের অবসান ঘটে।

সরকারের পদত্যাগের পর, সেনাপ্রধান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কথা জানান। সেইদিন রাষ্ট্রপতিও জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া তার ভাষণে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কথা জানান ও পরদিন এই লক্ষ্যে সংসদ ভেঙ্গে দেন। দেশে নতুন সরকার গঠন করার জন্য ৭ আগস্ট রাষ্ট্রপতির সাথে তিন বাহিনী প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকের পর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।৮ আগস্ট শপথগ্রহণের মাধ্যমে সরকার গঠন করা হয়। নতুন এই সরকারে ১৭ জন উপদেষ্টা রয়েছেন, যাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রয়েছেন নাহিদ ইসলাম,আসিফ মাহামুদ

এই সময়ে ঘটে যাওয়া সকল কিছু এখন দেয়াল লেখনির মধ্যে উঠে আসছে।