বাচ্চা কে মানসিক ভাবে গড়ে তুলার ক্ষেত্রে,পরিবার পরিবেশের আশে পাশে পরিবারে প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।জন্মের পর থেকে শুরু করে ৭/৮ বছর পযর্ন্ত খেলাধুলা কথাবার্তা চালচলন সব কিছু প্রতি বিশেষ করে মা বাবা কে খেয়াল রাখতে হবে।
মনে রাখবেন, জন্মের সময় বাচ্চাদের মধ্যে দুর্ব্যবহারের প্রবণতা থাকে না। আশপাশ থেকে দেখে বা তারা যেমন ব্যবহার পায়, তার ভিত্তিতে নিজের স্বভাব ও আচরণ গড়ে তুলতে শুরু করে। বাচ্চা দুষ্টুমি বা ভুল করলে মারধর, চেঁচামেচি না-করে অন্য উপায় তাদের সংশোধনের চেষ্টা করুন।যাতে করে সে শাসন মনে না করে অনুশাসন মনে করে।
এর জন্য সবার আগে মা বাবাকে শান্ত ধৈর্য্য ধরুন। বাচ্চারা কোনও ভুল করলে নিজের রাগ তাদের ওপর বার করবেন না, যে মুহূর্তে বুঝতে পারবেন, বাচ্চার ওপর হাত উঠে যেতে পারে,তাই নিজেকে শান্ত রাখতে হবে।বাচ্চাকে বুঝিয়ে ভলতে হবে।বাচ্চা কি বলতে চায় তা ভাল করে শুনতে হবে। ভুল করলে তাকে বুঝিয়ে সহজ ভাষায় বলতে হবে যাতে করে সে বুঝতে পারে আমি ভুল করেছি। তাহলে সে আর মুখে মুখে সতর্ক না করে তার ভুল বুঝতে পারবে
সন্তানকে নিজের বন্ধু বানান। মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্ক এমন হোক, যাতে সন্তান নির্দ্বিধায় নিজের মনের কথা মা-বাবাকে খুলে বলতে পারে। এর ফলে বাচ্চাদের মনে চলতে থাকা নানা বিষয় সম্পর্কে অবগত থাকবেন। পাশাপাশি সন্তানের ভুল-ঠিক দুই চিন্তাভাবনার প্রতিও সচেতন থাকবেন। এর ফলে সন্তানের ভুল সংশোধনের সময় ও সুযোগ পাবেন। সন্তানের বয়স কম বা বেশি যা-ই হোক না কেন আদতে পরিবারেরই লাভ হবে এতে।ভুল স্বীকার করে মার খাওয়ার পরিবর্তে মিথ্যে কথা বলে মারের হাত থেকে বাঁচতে চাইবে। তাই মারধরের পরিবর্তে ধৈর্য্য ধরে বাচ্চাদের বোঝানোর চেষ্টা করুন।বাচ্চারা ভুল স্বীকার করলে, তাদের মারবেন না। ভুল শুধরে নিতে এবং ভবিষ্যতে একই ভুল না-করতে বলুন। ফলে তাদের মিথ্যে বলার প্রবণতা যেমন কমবে, তেমনই সত্যি কথা বলার অভ্যাস বজায় থাকবে।তাই আপনার বাচ্চা ভুর করলে তাকে বোঝানোর চেষ্ঠা করুন।